অবিভক্ত তিন পার্বত্য জেলার(রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) থেরবাদা বৌদ্ধদের সবচেয়ে পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী ভিক্ষু সংগঠন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ‘র(পাভিসবা) ৪র্থ সংঘরাজ ও উপ-সংঘরাজ অভিষেক বরণানুষ্ঠানুষ্ঠান ২০১৯ অনুষ্ঠান সম্পন্ন।
গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯(২৫৬৩ বুদ্ধাব্দ) রোজ শুক্রবার, তারিখে রাঙ্গামাটি সদরস্থ ঐতিহ্যবাহী পাঠস্থান আনন্দ বিহারে পাভিসবা’র মহানগর, বিভিন্ন উপজেলা শাখা থেকে তরুণ, প্রবীণ সংঘের শত সদস্যের উপস্থিতিতে বিকাল সাড়ে ৩ঘটিকায় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
সেদিন পাভিসবা সংঘের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ভদন্ত সুগতলংকার স্থবিরের সঞ্চালনায় উদিয়মান শিল্পীবৃন্দের উদ্ভোধনী গান পরিবেশিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের, সভাপতি কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটি, পাভিসবা। সংঘরাজ ও উপসংঘরাজ মঞ্চে আগমণে সংঘের সদস্যেরা সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলদিয়ে বরণ করা হয়। এর মধ্যদিয়ে উপজেলা শাখাসমূহ থেকে ক্রেস্ট, ফুল, নানাবিধ সামগ্রী দিয়ে অভিষিক্ত করা হয় তাঁদেরকে৷ সংঘের পক্ষ থেকে বরণের পরপরই উৎসুক্য উপস্থিত বৌদ্ধ নর-নারীদের সংগঠন ও ব্যক্তিগতভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। উপসংঘরাজের সংক্ষিপ্ত জীবন পাঠ করেন ভদন্ত শীলপাল থেরো(সাবেক সম্পাদক, কেন্দ্রিয় কার্য নির্বাহজী কমিটি, পাভিসবা) ও সংঘরাজের জীবনী পাঠ করেন ভদন্ত লোকমিত্র থেরো, সাংগঠনিক সম্পাদক, পাভিসবা।
এমন ঐতিহাসিক দিনে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাবু বিজয় কেতন চাকমা, মনি স্বপন দেওয়ান(সাবেক উপমন্ত্রী) ও দীপেন দেওয়ান মহাশয়। মাননীয় উপসংঘরাজ তাঁর অত্যন্ত মহামূল্যবান অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন। মহামান্য সংঘরাজ তাঁর আর্শীবাদ প্রদান পূর্বক দেশ ও বিশ্বশান্তির জন্য মঙ্গল কামনা করেন। সর্বশেষ সভাপতি অনুষ্ঠানের সাথে ত্রিদ্বারে ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য, ভিক্ষুসংঘ, দায়ক সংঘ, মিডিয়াকর্মীদের সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক পূণ্যময় ও ঐতিহাসিক ধর্মসভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, এর আগে ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখ রাত্রে আনন্দ বিহারের বহুমুখী হল’এ পাভিসবা’র দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফেসবুক পেজ: Parbatya Bhikkhu Sangha Bangladesh-পাভিসবা